বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বজরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত আব্দুল কুদ্দুস নাটেশ্বর ইউনিয়নের রামপাড়া গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, আব্দুল কুদ্দুসের চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে পাশের বাড়ির নূর ইসলামের ছেলে দ্বীন ইসলাম ইমনের মামাতো বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহের কারণে ইমনের মামাতো বোন বাবার বাড়িতে চলে যান। এনিয়ে একাধিকবার গ্রামে শালিসও হয়। কিন্তু কিছুদিন থাকার পর আবারো শ্বশুর বাড়িতে যান ইমনের মামাতো বোন। এ বিষয়ে ইমন ও কুদ্দুসের মধ্যে কয়েকদফা কথা কাটাকাটি হয়।

এর জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কুদ্দুস ও তার লোকজন নিয়ে ইমনদের বাড়িতে হামলা চালায়। তখন ইমন তার চাচার ঘরে ছিলেন। কুদ্দুস ওই ঘরে গিয়ে ইমনকে মারধর করে পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন পালিয়ে যান। স্থানীয়রা কুদ্দুসকে উদ্ধার করে বজরা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুদ্দুস মারা যান।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা এক যুবককে ধরে পুলিশে দিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত ইমনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
এনটি