শুক্রবার (২৪ আগস্ট) সকালে উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের চরকাটখাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আক্তার হোসেন ওই গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, চরকাটখাল গ্রামের মসজিদ খেলার মাঠে বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে ঈদ প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছিল আবুল হাশিম গ্রুপ ও আলাল গ্রুপের লোকজন। কিন্তু আলাল গ্রুপের লোকজনের বাধার কারণে আবুল হাশিম গ্রুপের লোকজন মাঠে আসতে পারেনি।
এ নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনার বিরাজ করে। এর জের ধরে পরদিন সকালে দুই গ্রুপের লোকজন কাটখাল নতুন বাজারে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দু’গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত আবুল হাশিম গ্রুপের আক্তার হোসেনকে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- আবুল হাশিম গ্রুপের আবুল হাশেম, লাকসাব, আবুল হোসেন, জয়নাল, বুলবুল, আহাদ, শাহিন, মামুন, জাহাঙ্গীর, সেলিম, আব্দুর রহিম, আব্দুল করিম, আবু বকর, জামির হোসেন, জামাল, আলাল, হোসেন মেম্বার, লোকমান ও হারিছ। তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলিমুল হক বাংলানিউজকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
জিপি