শুক্রবার (২৪ আগস্ট) চিড়িয়াখানার প্রবেশপথেই বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বেলা গড়িয়ে বিকেল পড়ে এলেও চিড়িয়াখানার টিকিট কাউন্টার ও প্রবেশপথে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ সারি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিকেল চারটার পরও টিকিট কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে সাইফুল। তিনি বলেন, ঈদ ঘোরাঘুরির অন্যতম উপলক্ষ্য। পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি, সময় যতটুকুই আছে তার মধ্যেই যা দেখা যায়।
নগরীর রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় দূর থেকেও অনেক দর্শনার্থীরা এসেছেন। মোশারফ নামের একজন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ডেমরা থেকে চিড়িয়াখানায় এসেছেন।
তিনি বলেন, অন্যান্য দিন ইচ্ছে থাকলেও এতো দূর থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা সম্ভব হয় না। ঈদের মধ্যে রাস্তা ফাঁকা তাই সবাইকে নিয়ে ঘুরতে এলাম।
এদিকে, চিড়িয়াখানার ভেতরে প্রায় সব পশু-পাখির খাঁচার সামনেই ভিড় লক্ষ্যণীয়। শিশু কিশোরদের মধ্যেই এ নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
বানরের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া উচ্ছাসিত রাইয়ান জানায়, বাবার সঙ্গে চিড়িয়াখানা দেখতে এসেছে। তার দেখা পশু-পাখির মধ্যে বাঘ-সিংহ সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।
বিভিন্ন খাঁচার সামনে ব্যাপক জনসমাগম হওয়ায় তা সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন দায়িত্বরত কর্মীরা। অনেকেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাঘ-সিংহসহ বিভিন্ন হিংস্র প্রাণীর খাঁচা ঘেষে মোবাইলে ছবি তুলতে দেখা গেছে। মাইকে বার বার নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও অনেকেই তা মানছেন না। দায়িত্বরত কর্মীরা একদিক দিয়ে এসে নিষেধ করলে আরেকদিকে একই ভুল কাজ করছিলেন উৎসুক দর্শনার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
পিএম/এসএইচ