শুক্রবার (২৪ আগস্ট) রাতে শহরতলীর কিসমত নওয়াপাড়ার নজনীগন্ধা পাম্পের পার্শ্ববর্তী ভাড়াবাসা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কল্পনা বেগম মালয়েশিয়া প্রবাসী এক ব্যক্তির স্ত্রী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে রুবেল তাদের বাসায় রাত-যাপন করেন। রাতের কোনো এক সময়ে কল্পনার দুই মেয়ে মেহজাবিন ও তৃষাকে ফালুদার সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে পাশের কক্ষে আটকে রাখেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়েদের জ্ঞান ফিরলে তারা মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চান। এসময় মারধর করে পালিয়ে যায় রুবেল। পরে তারা মায়ের মরদেহ দেখে চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে থানায় খবর দেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের দুই মেয়ে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে রুবেল নামের এক যুবক এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কল্পনাকে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৮
ইউজি/ওএইচ/