ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সড়কে ঢাকামুখী ভিড় বাড়বে রাতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৮
সড়কে ঢাকামুখী ভিড় বাড়বে রাতে ঢাকায় বিভিন্ন পরিবহনের বাস এলেও ফিরতি যাত্রী একেবারেই কম

ঢাকা: ঈদের ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন যোগ হওয়ায় কার্যত নগরীজুড়ে এখনো ঈদের আমেজ। তবে কর্মব্যস্ত ইট-কাঠের এ শহর ছেড়ে দূর আপন ভূবনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সময় ফুরালো বলে।

ঈদের পর প্রথম কর্মদিবস রোববার (২৬ আগস্ট) হলেও শনিবার (২৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীতে ফেরা শুরু হয়নি তেমন। তবে বিভিন্ন বাস কাউন্টার কর্তৃপক্ষ বলছে, সড়কপথে ঢাকামুখী ভিড় বাড়বে রাত থেকে।

সকালে রাজধানীর গাবতলী ও কল্যাণপুর বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে অল্পসংখ্যক ঢাকামুখী মানুষের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে।

বেসরকারি চাকরিজীবীদের যাদের শনিবার থেকে অফিস কিংবা যারা ভিড় এড়িয়ে স্বস্তিতে ঢাকা ফিরতে চেয়েছেন মূলত তারাই ফিরেছেন সকালে। এছাড়া যারা বিভিন্ন কাজে আটকে ঈদে বাড়ি যেতে পারেননি তেমন অনেককে এখনো ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে।

সকাল ৮টার কিছু পর ঢাকা-কুষ্টিয়া রুটে চলাচলরত এসবি সুপার ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাস থামে গাবতলী টার্মিনালের সামনে। পুরো বাস থেকে যাত্রী নামলেন ৪-৫ জন। এদের একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী রেজাউল।

তিনি বলেন, আমাদের অফিসে ঈদের পরে যারা বাড়তি ছুটি নেয়নি তাদের আজই প্রথম কর্মদিবস। তাই কয়েকদিনের স্বল্প বিরতি শেষে আবার ঢাকায় ফিরতে হলো। পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়িতে রয়ে গেছেন। তারা আরো কিছুদিন পর ফিরবে।

গাবতলীতে শ্যামলী বাস কাউন্টারে কর্মরত শিমুল সরকার জানান, অফিস-আদালত কাল থেকে খুলবে। তাই ঢাকায় ফেরার মূল ভিড় শুরু হবে রাত থেকে। অনেকেই আজ দিনে রওনা দিয়ে রাতে পৌঁছাবেন, আবার অনেকে রাতে রওনা দিয়ে সকালে পৌঁছাবেন। আর আজ যারা এসেছেন রাস্তা ফাঁকা হওয়ায় ভোর থাকতেই চলে এসেছেন।

তিনি জানান, রাস্তা-ঘাটের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক। যান চলাচল বেড়ে গেলে পরের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে ঢাকায় ফেরা স্বস্তির হবে কি না।

এদিকে, কল্যাণপুর এলাকায় জয়পুরহাট-হিলি রুটে চলাচলরত হানিফ বাসের সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাসের সহকারী এরশাদকে হাঁক-ডাক দিতে দেখা গেলো। যাত্রী আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু যাত্রীতো আছেই, তবে খুবই কম।

খুলনা যাওয়ার জন্য এ কে ট্রাভেলসের টিকেট কেটে অপেক্ষা করছিলেন আলামিন। তিনি জানান, ধানমন্ডির একটি ফাস্টফুড দোকানে কাজ করেন। ঈদের মধ্যে বেচা-কেনা ভালো থাকে তাই মালিক সাধারণত ছুটি দিতে চান না। আবার থাকলে অতিরিক্ত কিছু টাকাও আয় হয়।

তাই সবাই যখন ঢাকামুখী আলামিনের মতো কিছু মানুষ প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৮
পিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।