ঢাকা, বুধবার, ১৫ মাঘ ১৪৩১, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে ডিবির সঙ্গে যুবলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৮
নারায়ণগঞ্জে ডিবির সঙ্গে যুবলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর বরফকল খেয়াঘাট সংলগ্ন চৌরঙ্গী ফ্যান্টাসি পার্কের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে যুবলীগ নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ডিবির ৫ কর্মকর্তাসহ ১০ জন।

রোববার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  

আহতদের মধ্যে ডিবির উপ পরিদর্শক (এসআই) মিজান ও এসআই সায়েমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া আহত ডিবির পরিদর্শক মাসুদ, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল ও এএসআই বকুলকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।  

অপরদিকে যুবলীগ নেতা জালাল, তার ছেলে আলামিন ও রবিনকে ঢামেক পাঠানো হয়েছে। বাকিদের নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

ঘটনার পর খানপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীরা। এ ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খানপুর বরফকল খেয়াঘাট সংলগ্ন চৌরঙ্গী ফ্যান্টাসি পার্কের সামনে একটি রেস্টুরেন্টে পরিবার নিয়ে খেতে যান এএসআই আমিনুল ও এএসআই বকুল। এসময় মিল্কসেক খাওয়ার পর ওই মিল্কসেকটি ভালো হয়নি দাবি করে বিল দিতে রাজি হননি এএসআই আমিনুল ও এএসআই বকুল। এসময় তাদের সঙ্গে রেস্টুরেন্টের মালিক ১১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি জালালের পুত্র আলামিন ও রবিন বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।  

এসময় যুবলীগ নেতা জালাল ও তার স্ত্রী রিনা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে আসলে ডিবির দুই এএসআই মিলে তাদেরকে মারধোর করেন। এতে করে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই দুই এএসআইকেও বেধড়ক পিটুনি দেয়। এসময় খবর পেয়ে ডিবির পরিদর্শক মাসুদ, এসআই মিজান ও এসআই সায়েম ঘটনাস্থলে আসলে লাঠিসোটা দিয়ে তাদেরকেও বেধড়ক পিটুনি দেওয়া হয়।  

পরে অতিরিক্ত ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।  

এসময় যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রায় ২০ মিনিট নারায়ণগঞ্জ-সিদ্ধিরগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখে।  

জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ঘটনাটি তদন্তের জন্য আমাকে প্রধান করে একটি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনায় যদি ডিবি পুলিশের কোনো কর্মকর্তা দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
এমআরপি/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।