সরকারি চাকরিজীবীদের কর্মদিবস শুরু হয়েছে রোববার (২৬ আগস্ট) থেকে। বেসরকারিদের আরো একদিন আগে।
ইতোমধ্যে বেশিরভাগ মানুষ ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। এখন যারা আসছেন তাদের বেশিরভাগই চাকরিজীবী নয়, তাদের পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৭ আগস্ট) সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে বেশির ভাগ লঞ্চ ঘাটে ভিড়ে গেছে। তবে ঘাটে লঞ্চ ভেড়া শুরু হয়েছে রাত তিনটা থেকে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে আরো জানা যায়, রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৭৭টি লঞ্চ সদরঘাটে ভিড়েছে। দুপুর দু’টা পর্যন্ত আরো ১৫ থেকে ২০টি লঞ্চ আসতে পারে। ঘাটে ভেড়ার পরপরই আবার খালি অবস্থায় লঞ্চগুলো ফিরে যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের সময় অতিরিক্ত লঞ্চের চাপ থাকার কারণে ঘাটে লঞ্চ দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। যাত্রী নামিয়ে তারা ডকে চলে যাচ্ছে। সেখান থেকে তারা তাদের রসদ মজুত করে আবার ফিরছে।
বরগুনা থেকে আগত এমভি সাতিল লঞ্চের যাত্রী রিপন বাংলানিউজকে বলেন, একেবারে নির্বিঘ্নে এসেছি। তবে ভাড়া ৫০ টাকা বেশি রেখেছে। এছাড়া আর কোনো সমস্যা হয়নি। আর ব্যক্তিগতভাবে সমস্যা হয়েছে কোরবানির মাংস আনছিলাম তা মনে হচ্ছে প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে।
হাতিয়া থেকে আসা লঞ্চগুলোর ক্ষেত্রে নদীর বিভিন্ন জায়গায় চরে আটকে যাওয়ার ভোগান্তি রয়েছে। এমভি ঈগল লঞ্চের যাত্রী ইফতিয়া জানান, আসার সময় হঠাৎ লঞ্চ চরে আটকে গিয়েছিল মাঝরাতে। ধাক্কা লেগে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। যদিও ২০ মিনিটের ব্যবধানে আবার লঞ্চ যাত্রা শুরু করেছিল।
ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী যুবরাজ-৪ লঞ্চের যাত্রী সায়মা হক বলেন, আমার স্বামী আগেই ঢাকায় ফিরেছে। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন তাই তার ছুটি কম ছিল। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে পরে এসেছি। কারণ ঈদের পরপরই লঞ্চে অনেক ভিড় ছিল। এছাড়া এখন নদী উত্তাল। এসময় অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই লঞ্চে আসতে ভয় লাগে।
এদিকে বরগুনা থেকে আসা কিং সম্রাট লঞ্চটির ইঞ্জিন মাঝপথে বিকল হয়ে যাওয়ায় ৩ ঘণ্টা নদীতে আটকে থাকতে হয় যাত্রীদের। নইলে সদরঘাটে সকাল ৯টায় পৌঁছানো এ লঞ্চটি ভোর ৬টার দিকে ঘাটে থাকার কথা ছিল বলে জানিয়েছেন লঞ্চটির যাত্রীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
এমএএম/এএ