এদিকে সামান্য বেতনে চাকরি করা গার্মেন্টসকর্মীদেরও বাড়তি ভাড়া গুণতে গিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। এরপরও চাহিদা মতো বাস নেই।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বগুড়া শহরের চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, তিনমাথা, বনানী, ধুনটমোড় এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, চারমাথা, খেজুরতলা, ধুনটমোড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের পাশ ঢাকামুখি বাস ও ট্রাক সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এসব বাস ও ট্রাকগুলো বেশির ভাগই স্থানীয় রুটে চলাচল করে থাকে। বেশি ভাড়ার কারণে গাড়িগুলো যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। এর মধ্যে বাসের সিটে ৫শ’, ভেতরে দাঁড়িয়ে ২শ’ ও ট্রাকে সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির কার্গো।
ভাড়া আদায়ের নামে গরিব খেটে খাওয়া শ্রমিকদের পকেটে হাত ঢুকিয়েছে গাড়ির মালিকরা। প্রকাশ্যেই তারা কর্মস্থলমুখি শতশত নিম্নআয়ের মানুষকে অনেকটা জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন। প্রতিবাদ করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।
এতে কি আর করার। উপায় অন্ত না পেয়ে অসহায় গার্মেন্ট শ্রমিকরা অনেকটা বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়েই ঢাকা পথে রওয়ানা হচ্ছেন জীবিকার তাগিদে। আর বাস মালিক ও তাদের নিয়োজিত লোকজন যাত্রীদের কাছ থেকে ঈদের পর থেকে কয়েকদিন ধরেই নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করেই চলছেন।
বাসের জন্য অপেক্ষারত আসমা আক্তার, সাবিনা, নূরজাহান, ইয়াসমিন, নুরুল হুদা, আমজাদ আলীসহ একাধিক গার্মেন্টকর্মী বাংলানিউজকে জানান, পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া দিয়ে বাড়ি এসেছিলেন। আবার কর্মস্থলে ফেরার পথেও বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, কাহালু, আদামদীঘি, দুপচাঁচিয়া, শেরপুর, ধুনট ও নন্দীগ্রাম উপজেলাসহ সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, সোনামুখী এলাকার কয়েক লাখ নারী ও পুরুষ ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। প্রতিবছর তারা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে আবার কর্মস্থলে ফেরেন তারা। আর আসতে যেতে এভাবে বাড়তি ভাড়া গুণতে হয়। তাও আবার জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। তবে বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কোনো মাথা ব্যথা নেই বলেও অভিযোগ করেন এসব শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
আরআইএস/