সাইফুল ইসলাম বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দির উমারপাড় এলাকার নুরুজ্জামান হাওলাদারের ছেলে।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে হাসপাতালের চতুর্থতলা থেকে তাকে আটক করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তিরত রোগীর সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলো সাইফুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে স্টেথোস্কোপ গলায় ঝুলিয়ে হাসপাতালের চতুর্থতলায় মেডিসিন ওয়ার্ডে এক রোগীকে চিকিৎসক পরিচয়ে দেখার অভিনয় করছিলো। এসময় বিষয়টি ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে তারা তাকে পরিচালকের কার্যালয়ে নিয়ে যান। পরে বিভিন্ন কথাবার্তার তিনি চিকিৎসক নয় বলে নিশ্চিত হলে পরিচালক তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
হাসপাতালের স্টাফরা বাংলানিউজকে জানান, তিনি কখনো নিজেকে ইন্টার্ন, কখনো মেডিকেল অফিসার, আবার কখনো গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটে গিয়ে রোগীর কাছে চিকিৎসক পরিচয় দিতেন। এবং রোগী ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণামূলক কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেয়। পাশাপাশি হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী আবদুল রশিদের ছেলেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তার কাছ লাখ টাকার ওপরে হাতিয়ে নিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সাইফুল শুধু হাসপাতালেই নয় চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সম্প্রতি এক বিত্তবানের মেয়েকেও বিয়ে করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরআগে নগরের সাগরদি এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাস করেন সাইফুল। পরে সে বিয়ে করে নগরের ইসলাম পাড়ায় শশুর বাড়িতে থাকেন।
আটক সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি কোথাও চিকিৎসক পরিচয় দেননি। তার গ্রাম থেকে খাইরুল ইসলাম নামে এক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি তার অবস্থা জানতে শেবাচিম হাসপাতালে যান এবং এক ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির কাছ থেকে স্টেথোস্কোপ নিয়ে রোগীর শারীরিক অবস্থা দেখছিলেন।
তিনি আরও জানান, ক্যান্সার বিভাগের এক চিকিৎসকের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক থাকায় প্রায়ই তার কাছে রোগী নিয়ে যেতেন, সম্প্রতি তার সঙ্গে সম্পর্কের টানা-পোড়ান সৃষ্টি হওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল থেকে ভুয়া চিকিৎসক পরিচয়দানকারী সাইফুল ইসলামকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
এমএস/ওএইচ/