শামীম হোসেন জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল সরকার পাড়ার বাসিন্দা। তিনি বগুড়া শহরের মালগ্রামে ভাড়া থাকতেন।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুপুরে আড়াইটার দিকে বগুড়া জেলা মোটরশ্রমিক সমিতির কার্যালয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। পরে শ্রমিক নেতারা তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। দুর্ঘটনার পরপরই শামীম বগুড়া জেলা ছাড়াও পাশের জয়পুরহাটে গ্রামের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন শামীম হোসেন।
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ আলম সিদ্দিকী জানান, গ্রেফতার বাসচালক শামীম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাটোর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে তাকে নেওয়ার জন্য নাটোরের একটি টিম বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
গত রোববার (২৬ আগস্ট) বগুড়া শহরের পলাশবাড়ি এলাকার ভাড়া বাসা থেকে এ মামলায় বাসচালকের সহকারী আবদুস সামাদ কমলকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে শনিবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে নাটোরের লালপুরের কদিমচিলান ক্লিক মোড়ের সাদিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে চ্যালেঞ্জার নামের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী লেগুনার সংঘর্ষে ১৫জন নিহত হয়। এর মধ্যে দুই শিশুসহ লেগুনার ১০ যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত আরও অন্তত ১৫ যাত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
এমবিএইচ/ওএইচ/