সম্প্রতি ভিয়েতনামের হ্যানয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়ে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে চার দেশীয় সড়ক যোগাযোগের বিষয়ে আলোচনা হয়। ‘ইন্ডিয়ান ওশান’ সম্মেলন উপলক্ষে তারা এখন হ্যানয়ে অবস্থান করছেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী জ্বালানি খাতে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন ভারত-বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পগুলোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় অংশ থেকে বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়ে চলমান আলোচনার বিষয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চার দেশীয় অভিন্ন পরিবহন নেটওয়ার্ক গঠন হবে শিগগিরই। উপ-আঞ্চলকি সম্প্রীতি ও সৌহার্দের বন্ধন দৃঢ় করতে বিবিআইএন মোটর ভেহিকল এগ্রিমেন্ট যোগ করতে যাচ্ছে নতুন মাত্রা।
বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় বলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে আরও কাজ করছে।
জ্বালানিখাতকে গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সহযোগিতায় নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বিদ্যুৎ খাতেও ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আশা করি বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের মধ্যে জলবিদ্যুৎ খাতে যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে দ্রুত সময়ে সেটা চুক্তিতে পরিণত হবে।
বৈঠকে পরিকল্পনা মন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, বন্ধুত্বের সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে বিনিয়োগ সুযোগ বাড়াতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ভারতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ১০০০ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। মোংলা ও ভেড়ামারায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণে ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ, রেলপথ, সড়ক, জাহাজ চলাচল, বন্দরসহ অবকাঠামো খাতে ১৭টি অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ।
বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যার কথাও উঠে আসে। ভারত এ দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করবে বলে জানান সুষমা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
এমআইএস/এএ