ঢাকা, সোমবার, ১৩ মাঘ ১৪৩১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন থেকে সবাইকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন থেকে সবাইকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান বক্তব্য রাখছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শকে জানার ও ধারণ করার জন্য জাতীয় সংসদের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ ‍মুজিবুর রহমানের দর্শন ছিল জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করা। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু আজন্ম লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন।

তিনি ছিলেন আপসহীন, অন্যায়ের কাছে তিনি কখনো মাথা নত করেননি। বঙ্গবন্ধুর দর্শন থেকে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদ সচিবালয় আয়োজিত ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এবং চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এবং মো. শাহাবুদ্দীন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

স্পিকার বলেন, বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শৈশব থেকেই টুঙ্গিপাড়ার খোকা ছিলেন অকুতোভয় ও মানবপ্রেমী। সংগ্রামী জীবনে জেল-জুলুম এবং অত্যাচার সহ্য করে তিনি বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু হওয়ার নেপথ্যের মূল কারিগর ছিলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এক অঙ্গুলির হেলনে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাংলার আপামর জনতা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদ  ও ২ লাখ মা-বোনের  সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালি জাতি ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার লাল পতাকা।

স্পিকার আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু তার মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের সব উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু ঘাতকরা তা বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, ইনডেমনিটির মতো কালো আইন করে ঘাতকদের রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে।  

পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘাতকদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শকে জানার ও ধারণ করার জন্য সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

এ সময় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে স্বরচিত গান পরিবেশন করেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখার পরিচালক মো. তারিক মাহমুদ এবং কবিতা আবৃত্তি করেন পরিচালক এস এম মঞ্জুর ও সংসদ সদস্য কাজী রোজী।

পরে জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া দোয়া পরিচালনা করেন।

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আবদুর রব হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপরা, সংসদ সদস্যরা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
এসএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।