কমিটির সদস্যদের ভাষ্য, লেগুনাচালক আব্দুর রহিম ছিলেন অদক্ষ আর কম বয়সী। একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের গঠিত ১০ সদস্যের কমিটির ছয়জন দুর্ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত কাজ শুরু করেন।
তারা দীর্ঘ সময় ধরে ঘটনাস্থল, ক্ষতিগ্রস্ত বাস, দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া লেগুনা দেখেন এবং প্রত্যক্ষদর্শীসহ অনেকের সঙ্গে দুর্ঘটনার ব্যাপারে কথা বলেন। এসময় তারা দুর্ঘটনা কবলিত বাসের ত্রুটি বিচ্যুতি অনুসন্ধান করেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বিআরটিএ এর পরিচালক (অপারেশন) সিতাংশু শেখর বিশ্বাস, গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম, বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক ও দুর্ঘটনা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সদস্য কাজী মোহাম্মদ সিফান নেওয়াজ, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আজাদ হোসেন এবং বৈশাখী টেলিভিশনের হেড অব নিউজ অশোক চৌধুরী।
অতিরিক্ত সচিব সফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার কমাতে ট্রমা সেন্টার ও আলাদা লেন তৈরি করা হবে। হাইওয়ে পুলিশকে অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করবে তদন্ত দল।
আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হলেও এর আগেই নাটোরের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এসময় তিনি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি সড়ক নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হবে।
মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে পরিবহন খাতের সংশ্লিষ্ট সবার নজরদারি ও অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
এসআই