আইযুব আলী ঘিওর উপজেলার বৈকন্ঠপুর গ্রামের সালেম আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) একেএম নুরুল হুদা রুবেল বাংলানিউজকে জানান, ২০০৯ সালের ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ করে আইয়ুব আলী। এক পর্যায়ে ওই গৃহপরিচারিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এ নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশও হয়েছে। সালিশে উপস্থিত সবাই ওই গৃহপরিচারিকাকে বিয়ে করার কথা বলেও রাজি হয়নি আইয়ুব আলী। পরে বাধ্য হয়ে ২০১০ সালের ৭ এপ্রিল ভিকটিম বাদি হয়ে ঘিওর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘিওর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আফছান আলী আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিম নারাজি আবেদন করলে কোর্ট অধিকতর তদন্তের জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। পরে ওসি সম্পূরক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে তাতেও নারাজিসহ ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেন। অন্তঃসত্ত্বা থাকায় ভিকটিম এরমধ্যে ছেলে সন্তানের মা হন। তাই পর্যাপ্ত উপাদান থাকায় মামলা আমলে নিয়ে কোর্ট ২০১৩ সালের ২১ মার্চ বিচার কাজ শুরু করেন।
পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে আইয়ুব আলী বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার এ রায় দেন আদালত। রায়ে আসামি গ্রেফতার বা আদালতে আত্মসর্মপণের পর থেকে সাজা কার্যকর হবে বলা হয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ফজলুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
কেএসএইচ/ওএইচ/