মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে লক্ষ্মীনারায়ণপুরের মাস্টারপাড়া এলাকার রহমানিয়া ম্যানশনের ৭তলা একটি বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শাহীনুর বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের দরাপপুর গ্রামের নূরুল আলমের মেয়ে।
এ মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক বলে ধারণা করেছেন ভবনটির বাসিন্দারা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত শাহিনুরের ছোট বোন প্রিয়াঙ্কা ও ছোট ভাই আকাশকে নিয়ে শহরের মাস্টারপাড়ার হাজী রুহুল আমিনের বাসার ৭ তলায় বসবাস করতেন। তার ছোট বোন প্রিয়াঙ্কা নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের ও ছোট ভাই আকাশ অরুণ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বাড়ির মালিক রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল তাদের কাছ থেকে বাসা ভাড়া নেয় শাহীনুর। এরপর থেকে তারা তিন ভাই-বোন বসবাস করে আসছিল। কোরবানির ঈদের বন্ধে তিন ভাই-বোন তাদের গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে যায়।
ঈদের দু’দিন পর শাহীনুর একা বাসায় ফিরে আসেন। গত ২/৩ দিন ধরে তাদের বাসার দরজা জানালা বন্ধ দেখে বাড়ির মালিক রুহুল আমিন ও তার স্ত্রী মঙ্গলবার বিকেলে ৭ তলায় গিয়ে দরজার কড়া নাড়েন। কিন্তু ভেতর থেকে পচা দুর্গন্ধ ভেসে আসে। একপর্যায়ে তিনি সুধারাম থানায় খবর দেন।
খবর পেয়ে বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসা থেকে ওই কলেজছাত্রীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহেদ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসার আগে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা কিছুই বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
জিপি