বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৮টার সময় পাপিয়াকে মৃত অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পাপিয়া ডামুড্যা উপজেলার চরমালগাঁও গ্রামের দুবাই প্রবাসী লিটন চৌকিদারের স্ত্রী।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার চর জুশিরগাঁও গ্রামের ভবতোষ গন্নাইতের মেয়ে পাপিয়ার ৩ বছর আগে বিয়ে হয় ডামুড্যা উপজেলার চর মালগাঁও গ্রামের মৃত শুকচান চৌকিদারের ছেলে দুবাই প্রবাসী লিটন চৌকিদারের সঙ্গে। লিটন বর্তমানে দুবাই আছে। বনিতা নামে তাদের ২ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
পাপিয়ার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি ও দেবর-ননদ পাপিয়াকে জ্বালা যন্ত্রণাসহ নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। তারা তাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
পাপিয়ার বাবা ভবতোষ গন্নাইত বলেন, সকাল ১০টার সময় পাপিয়ার শ্বশুরবাড়ির এক প্রতিবেশী আমাকে ফোন করে বলেন, আপনার মেয়েকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে। মেয়েকে যদি দেখতে চান তাহলে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যান। খবর পেয়ে আমরা সদর হাসপাতালে গিয়ে মেয়েকে খোঁজাখুজি করি। পরে জানতে পারি মেয়ের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাসপাতালে আমার মেয়ের মরদেহ রেখে চলে গেছে। বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে তারা এক মুহূর্ত শান্তিতে সংসার করতে দেয়নি। আমার মেয়েকে তারা নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. তোফায়েল আহম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ৮টার সময় পাপিয়াকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পালং থানা পুলিশ এসে পাপিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
আরএ