বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে পাবনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এ আবুল হোসেনকে হাজির করে পুলিশ সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক মো. রাশেদ হোসাইন তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
শিল্পপতি আবুল হোসেন নিহত নদীর সাবেক স্বামী রাজীব হোসেনের বাবা। নদী হত্যা মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, অ্যাডভোকেট মুসফিকা জাহান কনিকা ও অ্যাডভোকেট ফিরোজ আলী মণ্ডল এবং রাষ্ট্রপক্ষের সিএসআই ছিলেন উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হানান ও আব্দুল আওয়াল এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার (২৯ আগস্ট) গ্রেফতার করা হয় আবুল হোসেনকে। তিনি পাবনার ইড্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানি) ও শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বুধবার বিকেলে পাবনা সদর থানায় মামলাটি করেন নদীর মা মর্জিনা বেগম। এতে শিল্পপতি আবুল হোসেন, তার ছেলে ও নদীর সাবেক স্বামী রাজীব হোসেন, অফিস সহকারী শামসুজ্জামান এবং অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাতে পাবনা পৌর সদরের রাধানগর মহল্লায় আদর্শ গার্লস হাইস্কুলের সামনে ভাড়া বাসায় ফেরার পথে বাসার সামনেই কয়েকজন দুর্বৃত্ত সুবর্ণা আক্তার নদীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
জানা যায়, রাজীবের সঙ্গে বিয়ের আগে নদী অন্যত্র বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারে জান্নাত নামে ৬ বছরের মেয়ে রয়েছে। শহরের রাধানগর মহল্লায় আদর্শ গার্লস হাইস্কুলের সামনে পরিবার নিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকতেন নদী। সম্প্রতি রাজীবের সঙ্গে ডিভোর্স হয় তার। এ নিয়ে আদালতে একটি পারিবারিক মামলাও চলছে বলে জানা যায়।
নদীর বড় বোন চম্পা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের শুনানির তারিখ ছিল। আমরা সবাই কোর্টে ছিলাম। মামলা আমাদের পক্ষে ছিল। তারা জানতেন মামলায় হেরে যাবেন। তাই নানাভাবে ফোনে ও লোক দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
এসআই