বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম হাছিনা রৌশন জাহান এ রায় দেন। আসামি দেলোয়ার বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এমদাদ হোসেন কৈশোর বাংলানিউজকে জানান, ২০০৫ সালে নোয়াখালীর চাটখিলে দেলোয়ার (২৪) বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি দেলোয়ারকে জানালে তিনি ওই কিশোরীকে বিয়ে করবে না বলে জানান।
পরে ওই কিশোরীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায় ধর্ষক। বিষয়টি জানাজানি হলে এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। আসামিপক্ষ সালিশ না মেনে উল্টো সালিশে আসা ব্যক্তিদের গালমন্দ করেন।
পরে ধর্ষণের অভিযোগে দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলা দায়েরের পর কিশোরী সন্তান প্রসব করে। চাটখিল থানা পুলিশ দেলোয়ারকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর দেলোয়ার ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০১০ সালের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত কারাগারে ছিলো। পরে সে জামিনে মুক্তি নিয়ে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
আরএ