আহতদের মধ্যে সাতজনকে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং আটজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সকালে উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের নুরনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে- ইউনুছ আলীর ছেলে মুন্নাফ (৩৮), ইসমাইল হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৪২), মৃত এরশাদ আলীর ছেলে হযরত আলী (৪৮), ইসমাইল হোসেনের ছেলে গফুর (৪৭), আব্দুর রহমানের ছেলে হাবিব (৩৫), আব্দুর রহমানের ছেলে জাকিরুল (৩৫) ও মৃত হোসেন প্রামাণিকের ছেলে রুবেল প্রামাণিককে (৫০) ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং গুরুতর আহত হযরত আলীর স্ত্রী ফরিদা (৫০) আব্দুর রহমানের ছেলে আরিফুল (২৮), আব্দুল মান্নানের ছেলে জাহাঙ্গীর (২৯), হযরত আলীর ছেলে আল আমিন (২৮), হযরত আলীর ছেলে হেলাল (৩৫) ইউনুছ রহমানের ছেলে আজাহার আলী (৩৮), রুবেল প্রামাণিকের ছেলে জিন্নাত (২৯) ও আব্দুল গফুরের ছেলে সেলিমকে (৩৭) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের নুরনগর গ্রামের আব্দুর রহমান ও হযরত আলীর মধ্যে একটি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আগেও দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নারীসহ ১৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনার পর আব্দুর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও অপর পক্ষ এখনো কোনো অভিযোগ দেয়নি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি (তদন্ত) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
আরএ