বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) রাত পৌনে আটটায় উপজেলার ঝাউগড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইয়াবা দিয়ে এক যুবককে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যকে মারধর করা হয়। তবে পুলিশ বলছে, মাদকদ্রব্যের এক আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে আসামি পক্ষের লোকজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে আড়াইহাজার থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাসেম, পিএসআই (শিক্ষানবীশ উপ-পরিদর্শক) মোফাজ্জল হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক মোস্তফা, সহকারী উপ-পরিদর্শক হেলাল সাদা পোশাকে দুটি মোটরসাইকেলে করে উপজেলার ঝাউগড়া এলাকায় যান।
এ সময় অটোরিকশা চালক রমজান আলীকে মাদকদ্রব্য দিয়ে আটক করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তাদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করে পুলিশ সদস্যরা।
পরে উত্তেজিত স্থানীয় লোকজন চার পুলিশ সদস্যকে মারধর করে।
অটোরিকশা চালক রমজান হোসেন বলেন, উপজেলার ঝাউঘরা গোরস্থান সংলগ্ন বাড়িতে এসে আমার পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে পুলিশ সদস্যরা।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ হক জানান, পুলিশের চার কর্মকর্তা সিভিল পোশাকে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে গেলে আসামির লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে।
তবে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, গত বুধবার রাতে ঝাউগড়া এলাকার এক নারী স্থানীয় থানার ওসির মোবাইলে ফোন দিয়ে জানান- রমজানের ঘরে মাদক রয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। কিন্তু এরই মধ্যে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৮
ইএআর/এমএ