বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিসিএস (গণপূর্ত) ক্যাডারে যোগদানকৃত নবীন কর্তকর্তাদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তর আগের তুলনায় অনেক গতিশীল হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, বর্তমানে আজিমপুর কোয়ার্টার্সে প্রায় এক হাজার আটশ’এবং মতিঝিল এলাকায় দুই হাজার আটশ’ পরিবার বসবাস করে। আজিমপুর ও মতিঝিল এলাকার মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। মাস্টার প্ল্যান চূড়ান্ত করা হলে এই দুই এলাকায় প্রায় বিশ হাজার কর্মকর্তা বসবাস করার সুযোগ সৃষ্টি করা যাবে। একই সঙ্গে এসব এলাকায় উন্মুক্ত স্থানের পরিমাণ বাড়বে এবং জলাশয় ও খেলার মাঠসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা যাবে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, যে জাতি স্বপ্ন দেখতে জানে না, সে জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীন করার সঙ্গে সঙ্গে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছেন এবং সেই লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এরইমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। এই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ায় নবীন কর্মকর্তাদের আত্মনিয়োগ করতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী মো. রাফিকুল ইসলাম, প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ই/এম) আব্দুল মজিদ।
৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে গণপূর্ত ক্যাডারে মোট ২৭ জন কর্মকর্তা যোগদান করলেন। এরমধ্যে ১৯ জন সিভিল এবং আট জন ইলেক্ট্রিক্যাল শাখায়। অনুষ্ঠানে দু’জন নবীন কর্তকর্তা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস