বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) নগরের পর্যটন মোটেল এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ও মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে জনসচেতনতামূলক র্যালি ও প্রচারণা কার্যক্রম উদ্বোধন করে বিভিন্ন পাম্পে হেলমেট পরিহিত বাইকারদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান রংপুরের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
এসময় বাইকারদের হেলমেট ব্যবহারে শতভাগ সফলতা না আসা পর্যন্ত ‘নো হেলমেট নো পেট্রল’ কর্মসূচি অব্যাহত থাকার ঘোষণা দেন তিনি।
এসপি মিজানুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মোটর সাইকেল চালক ও আরোহী। মোটর সাইকেল দুর্ঘটনার সময় দেখা যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বেশির ভাগের মাথায় হেলমেট নেই। আমরা চাই দুর্ঘটনা রোধ ও ক্ষতির পরিমাণ কমাতে মোটর সাইকেল চালকরা বাধ্যতামূলক হেলমেট ব্যবহার করুক।
তিনি বলেন, মোটর সাইকেল চালকদের মধ্যে ‘নো হেলমেট নো পেট্রল’ উদ্যোগটি সাড়া ফেলেছে। সড়কে এখন হেলমেট পরিহিত মোটরসাইকেল চালকের সংখ্যা বেড়েছে। এই সচেতনতা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পুলিশ প্রশাসন জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনতে মোটর সাইকেল চালকদের সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি সড়কে ফিটনেসবিহীন ভারী যানবাহন ও ধীরগতির গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের ব্যাপারে ‘নো-কম্প্রোমাইজ’ নীতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা চলছে। কাউকে আর ছাড় দেওয়া হবে না।
সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নগরের বিভিন্ন পাম্পে হেলমেট পরিহিত মোটর সাইকেল চালক ও আরোহীকে ফুল, সচেতনতামূলক লিফলেট ও স্টিকার দেওয়া হয়। এছাড়া পাম্পে পাম্পে ‘নো হেলমেট নো পেট্রল’ লেখা সম্বলিত ব্যানার, সাইনবোর্ড ও ফেস্টুন লাগানো হয়।
জনসচেতনতামূলক র্যালি ও প্রচারণা কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু মারুফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) সাইফুর রহমান সাইফ, রংপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোক্তারুল আলম, ট্রাফিক ইনচার্জ খান মো. মিজানুর ফাহমি, পেট্টোল পাম্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটুসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
এনএইচটি
