ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

এমপি রানার জামিন নামঞ্জুর, গুলি ও পিস্তলসহ আটক ৮

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৮
এমপি রানার জামিন নামঞ্জুর, গুলি ও পিস্তলসহ আটক ৮ আটক যুবকরা

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার সাক্ষী ফারুক হোসেন সনি অনুপস্থিত থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

এ মামলার অন্যতম আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত এ আদেশ দেন।

পাশাপাশি এমপি রানার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বিকেল ৪টায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। এর আগে, ৮ আগস্ট আসামিপক্ষের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি হয়। ওই শুনানিতে বুধবার জামিনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

এদিকে, এমপি রানার মুক্তির দাবিতে তার সমর্থকেরা মিছিল নিয়ে আদালত এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করে।  এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মিছিলকারীদের মধ্য থেকে রানার সমর্থক রাইসুল ইসলাম রাব্বি এবং মাজাহার হোসেন তমাল নামে দুই যুবককে একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন ও আট রাউন্ড গুলিসহ আটক করে পুলিশ। এছাড়াও আরো আটজনকে চাইনিজ কুড়াল, হাঁতুড়ি, রড, লোহার পাইপসহ আটক করা হয়।

দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বাংলানিউজকে জানান, মিছিলকারীরা নাশকতা করার চেষ্টা করছিলো। পুলিশ সতর্ক থাকায় তা করতে পারেনি। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে যা যা করা দরকার তা করা হবে।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর টাঙ্গাইল-(ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১ আছেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিন্ম আদালতে আবেদন করেও তিনি জামিন পাননি।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশি তদন্তে এ হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের জাড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে। গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।