আগামী ৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাতে নৈশকোচে লিয়নকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে (জাতীয় স্নায়ুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল) পাঠানো হবে। ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম ঢাকায় নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত শিশু লিয়নের সঙ্গেই থাকবেন।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, লিয়নের সার্বিক চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। এরইমধ্যে শিশুটির পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।
ডিসি জানান, দুদক মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী ফোন করে লিয়নের খোঁজখবর নিয়েছেন। ছেলেটির চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রয়োজনের কথা শুনে তিনি জানিয়েছেন- লিয়নের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
শিশু লিয়নের দ্রুত সুস্থতার জন্য সবার দোয়া ও আশীর্বাদও কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
গত ১৮ মে গাছ থেকে মাটিতে পড়ে যাওয়া একটি টিয়া পাখির ছানা বাসায় পৌঁছে দিয়ে নেমে আসার সময় পা ফসকে গাছ থেকে নিচে পড়ে যায় লিয়ন। এতে শিশুটি মাথা ও হাতে আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানকার চিকিৎসকরা শিশুটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে অথবা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হসপিটালে নিয়ে চিকিৎসা দিতে পরামর্শ দেন। কিন্তু খরচের কথা ভেবে ঠাকুরগাঁওয়ে ফিরে আসে লিয়নের পরিবার। শিশুটিকে আবার ভর্তি করে দেওয়া হয় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে। তারপর কেটে যায় প্রায় তিন মাস।
এ নিয়ে গত ৮ আগস্ট ‘দুই মাস ধরে অচেতন শিশু লিয়ন, অসহায় মায়ের কান্না শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলানিউজ। এতে দৃষ্টি আকর্ষণ হয় সংশ্লিষ্টদের।
শিশু লিয়নের মা মুক্তা রানী বলেন, বাংলানিউজসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রচারের পর ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন আমার সন্তানের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
জিপি/এইচএ