রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এই দণ্ডাদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলা গুনাইগাছ ইউনিয়নের রামধন গ্রামের নূর জামালের স্ত্রী জরিনা বেগমের (৪৫) ৮ শতক ভিটাবাড়ির জমি নিজ নামে লিখে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল একমাত্র ছেলে জসিম উদ্দিন (২০)।
জরিনা বেগম ছেলের নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বছর খানেক ধরে পার্শ্ববর্তী তবকপুর ইউনিয়নের বামনা ছড়া গ্রামের বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন। রোববার সকালে একটি এনজিও’র ঋণের কিস্তি দিতে আসলে ছেলে জসিম উদ্দিন মায়ের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
একপর্যায় হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে জরিনা বেগমকে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। পাষণ্ড ছেলেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত দণ্ডাদেশ দেওয়ার পর আসামিকে কুড়িগ্রাম জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এফইএস/জিপি