সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) রংপুরের জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীবের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল মান্নাফ কবির।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বিআরটিসির বাসের ফিটনেস নিয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, বাসটি সড়কে চলাচলের উপযোগী ছিল না। বাসটির বডি ছিল খুবই দুর্বল। একারণে মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল মান্নাফ কবির আরো বলেন, দুর্ঘটনার পর দ্রুত বেগে গাড়ি চালিয়ে যাত্রী সাধারণের মৃত্যু ঘটানোর অপরাধে কোতয়ালি থানার এসআই মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে দুই বাসের চালক, সহকারী, রুবি পরিবহনের মালিক ফারুক মন্ডল ও বিআরটিসির বগুড়া ডিপোর তত্ত্বাবধায়ককে আসামি করে মামলা করা হয়।
বিআরটিসির বাসটি ওইদিন বগুড়া থেকে পঞ্চগড় যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে। প্রতিবেদনে সড়ক-মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন ভারী যান চলাচল বন্ধ করার পাশাপাশি অটোরিকশা, ভটভটি, নসিমন, করিমন ও ট্যাম্পো চলাচল নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে দুর্ঘটনার আটদিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গত ২ সেপ্টেম্বর রংপুর মহানগরীর সিওবাজার বিজিবি সদর দপ্তর বাজারের সামনে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে বিআরটিসির বাসের সঙ্গে রুবি পরিবহন নামে অপর একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একই পরিবারের তিনজনসহ আটজনের মৃত্যু হয়। ওই দুর্ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
জেডএস