সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্যের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেছে দুদক। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
দুদকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য এবং বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে অবগত হয়েছে, সিরাজুল হকসহ বিভিন্ন নামে কমিশনের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এক বা একাধিক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তি, ব্যাংক-বিমায় কর্মরত ব্যক্তিসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের কাছ তাদের নামে কমিশনে কল্পিত অভিযোগ রয়েছে অথবা কমিশনের বিবেচনাধীন কোনো অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেওয়ার কথা বলে টেলিফোনে অথবা মোবাইল ফোনে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা দাবি করছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। এই সংস্থায় কোনো ব্যক্তির একক অভিপ্রায় অনুসারে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার অথবা অভিযুক্ত হওয়ার কোনো আইনি সুযোগ নেই। কমিশন অনুসন্ধান বা তদন্ত সংক্রান্ত সব ধরনের যোগাযোগ টেলিফোন বা মোবাইল ফোনে নিষিদ্ধ করেছে। কমিশনের এ সংক্রান্ত সব যোগাযোগ কেবল লিখিত পত্রের মাধ্যমেই করা হয়। টেলিফোন বা মোবাইলফোনে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো প্রশাসনিক এবং আইনি সুযোগ নেই।
কমিশন এরূপ প্রতারকদের অবৈধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছে। এ জাতীয় প্রতারকদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে এদের বিরুদ্ধে নিকটস্থ থানা অথবা র্যাব কার্যালয় অথবা দুদকের পরিচালক (মনিটরিং) টেলিফোন- ৯৩৫২৫৫২ এবং মোবাইল নং-০১৭১১৬৪৪৬৭৫ এর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
আরএম/জেডএস