ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘আমরাও বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করতে পারবো’

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
‘আমরাও বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করতে পারবো’

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বর্তমান সরকারের আমলে দেশের সার্বিক চিত্রই পাল্টে গেছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রতিটি গ্রাম এখন শহরে রূপ নিতে শুরু করেছে। গ্রামীণ অর্থনীতি এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে চাঙা। তাই একদিন আমরাও বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করতে পারবো। ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের রফতানি একশ’ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সামশুল আলম চৌধুরীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
 
রফতানির তুলনায় আমদামি তিনগুণ বেশি এমন দাবি নাকচ করে দিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, কথাটি সত্য নয়।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে আমদানির পরিমাণ ছিল ৫৮ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রফতানির পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
 
তিনি বলেন, চীন, ভারত ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের বড় বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমরা প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করি, কিন্তু ওই দেশটি আমাদের দেশে এক বিলিয়ন ডলারের পণ্যও রফতানি করতে পারে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমরা প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করি, সেক্ষেত্রে তারা আমাদের দেশে এক বিলিয়ন ডলারের পণ্যও রফতানি করতে পারে না। সে কারণে বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেই যে খারাপ এটা বলা যাবে না। পাশ্ববর্তী দেশ হওয়ার কারণে চীন ও ভারত থেকে বেশি পণ্য আমদানি হয়। কিন্তু এখন চীনে তৈরি পোশাকসহ অনেক কিছু রফতানি করি।
 
মন্ত্রী জানান, বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পাওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যদিও দীর্ঘমেয়াদে বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস করার জন্য সরকার এরইমধ্যেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত বছর বন্যায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় উৎপাদন ঘাটতি পূরণে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য আমদানির ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া রফতানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতির আমদানির কারণে এই খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
 
সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা দুই দেশের পণ্যে বিক্রির উদ্যোগ হিসেবে বর্ডার হাট বসানো হয়। সরকার আরও কয়েকটি জায়গায় বর্ডার হাট বসানোর পরিকল্পনা করছে। আর বর্ডার হাট বসানো একটি ভালো সিদ্ধান্ত ছিল। এরইমধ্যে যেসব হাট বসে সেগুলোতে দুই দেশের ব্যাপক ক্রেতা-বিক্রেতা উপস্থিতি হন। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে আসবেন। ওই সফরেই বর্ডার হাটের বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এসএম/এসকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।