সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই কিশোরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন- উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের চরগোসাই গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে ইব্রাহিম ও একই ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) নোমান।
বাদীর আইনজীবী ফখরুল আলম নাহিদ বাংলানিউজকে বলেন, মামলাটি তদন্ত করার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব পরিচয়ের জের ধরে মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে ইব্রাহিম ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যান। পরে উপজেলার চরগোসাই গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির বাগানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। আতঙ্কিত কিশোরী চিৎকার শুরু করলে ইব্রাহিম মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। সেখান থেকে গিয়ে কিশোরী তার খালুকে বিষয়টি জানায়। পরে অভিযুক্তকে ডেকে আনা হয় স্থানীয় বিবিরহাটে। সেখানে তিনি জনসম্মুখে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে রামগতি থানা পুলিশের কাছে সৌপর্দ করা হয়। এ ঘটনা মীমাংসা করে দেওয়া শর্তে ইউপি সদস্য নোমানের জিম্মায় ধর্ষণকারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটনাটি ধামাচাপা ও মামলা না করতে ইউপি সদস্য লোকজন দিয়ে ওই কিশোরী ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে। পরে ওই কিশোরী বাদী হয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য নোমান বলেন, অভিযোগকারী কিশোরী অসুস্থ্য। তার লোকজন ইব্রাহিমকে মারধর করে ধর্ষণের স্বীকারোক্তি আদায় করেছিলেন। পুলিশ ঘটনাটি মিথ্যে জানতে পেরে আমার জিম্মায় দেয়। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এসআর/এসআরএস