এছাড়া আমদানি করা মালামাল খালাস করার জন্য ব্যাংকসমূহের এলসি ওপেনিং ব্র্যাঞ্চগুলো শনিবারেও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান। এতে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ-এর সভাপতিসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের প্রতিনিধি এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যাংক থেকে ক্লিয়ারেন্স পাওয়া এয়ারওয়ে বিলের মালামাল শনিবার ডেলিভারি দেওয়ার প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি কাস্টমস প্রয়োজনীয় জনবলসহ উপস্থিত থাকবে।
সভায় নেওয়া অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো আসার আগেই প্রি-অ্যারাইভাল প্রসেসিং সম্পন্ন করতে হবে। এ পদ্ধতিটি চালু করার জন্য জরুরিভিত্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে এসআরও জারি করতে হবে। প্রি-অ্যারাইভাল প্রসেসিংয়ের জন্য ফলেঅ চার্ট তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া প্রতি কার্যদিবসে মালামাল ডেলিভারি দেওয়ার জন্য রাত ৯টা পর্যন্ত ওয়ার হাউজ খোলা রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া যদি কোনো এয়ারওয়ে বিল পেন্ডিং থাকে তা ক্লিয়ার করতে বেশি সময়ের জন্য ওয়ারহাউজ খোলা রাখতে হবে।
দ্রুত বিল অব এন্ট্রি প্রসেসিং ও শুল্কায়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য এনবিআর এবং কম্পিউটারের কনফিগারেশন বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, আমদানি করা মালামাল খালাস করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর দায়িত্ব এবং তা সম্পাদনের প্রক্রিয়া/পদ্ধতি বিষয়ে বেবিচকের সদস্যের (অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যান) নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ফলো চার্ট তৈরি করবে।
আমদানি করা মালামাল খালাস করার প্রক্রিয়াকে সহজ করতে হবে, বেবিচকের একটি হট লাইন থাকবে এবং এ সম্পর্কিত অভিযোগ ও পরামর্শ সেখানে দেওয়া যাবে এবং বিমানবন্দরের যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
এমইউএম/এমএ/