শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোরশেদ আলম (৩০) নরসিংদীর পলাশ থানার তারগাঁও এলাকার সিরু মিয়ার ছেলে।
আহত স্বপ্না আক্তারের ছোট ভাই শাহ জালাল জানান, মোরশেদ বিয়ের পর থেকে দারগারচালা এলাকায় তার শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। ঝগড়া করে মোরশেদ মাঝে-মধ্যেই তার মায়ের কাছে চলে যেতেন। স্বপ্না স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন এবং মোরশেদ বর্তমানে বেকার ছিলেন। সকালে স্বপ্না কারখানার উদ্দেশে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। কিছু সময় পর খবর পান রক্তাক্ত অবস্থায় স্বপ্না রাস্তায় পড়ে আছেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। তার গলা ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মমিন জানান, সকালে দারগারচালা এলাকায় একটি রাস্তায় মোরশেদকে গুরুতর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় চিকিৎসক মোরশেদকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীকে কুপিয়ে মোরশেদ নিজেই গলাকেটে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনা জানতে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. আবু রায়হান জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মোরশেদকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। তার গলা কাটা ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
আরএস/আরআর