বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত সিরাজ সিকদার, ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য তাইজুল ইসলাম পান্না, আইয়ুব আলী, হরষিত রায়সহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন বিষয় সামনে বেরিয়ে আসছে। সবগুলো বিষয় আমরা পর্যালোচনা করে দেখছি।
এছাড়া ইউনিয়নের কুড়ুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজান ও এবি ইউসুফকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে সকালে স্থানীয়রা উজিরপুরের কারফা বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন এলাকাবাসী। কারফা বাজারের কলেজ রোড এলাকার বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর ও সোহাগ সরদার নামে একজনের তিনতলা একটি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয়রা।
তবে দুপুর নাগাদ পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও জল্লা ইউনিয়নের বাসিন্দারা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন।
এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার মো. ইউনুসের পিএস আবু সাইদকে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল আবু সাইদের সম্পৃক্ততার বিষয়েও অভিযোগ করেছেন তারা। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির জানান, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নির্মল বিশ্বাস জানান, এখানে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনেকেই অবস্থান নেন।
অন্যদিকে শনিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে নিহত চেয়ারম্যানের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে জল্লা ইউনিয়ন আইডিয়াল কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সহস্রাধিক মানুষ তার মরদেহ ঘিরে অবস্থান নেয়।
চেয়ারম্যানকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উজিরপুরের ইচলাদীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ মরদেহ দেখতে জল্লা ইউনিয়ন আইডিয়াল কলেজ মাঠে আসেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় স্থানীয়রা চেয়ারম্যানের হত্যাকারীদেরে ফাঁসি দাবি করেন।
সাধারণের দাবি, নিহত চেয়ারম্যান সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় থাকায় এবং তার ভালো কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আসছে।
এদিকে পুরো ইউনিয়ন ঘিরে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উজিরপুর ইউনিয়নের কারফা বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দৃর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা সুখলাল হালদার বাদী হয়ে উজিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির। তবে আসামমিদের বিষয়ে কিছুই জানাননি তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
এমএস/আরআর