জানা যায়, প্রায় শতবছর আগে মহাদেব পাঁড়ে নামে এক ব্যক্তি এ মিষ্টির প্রচলন করেন। এই খাবারটির সুনাম বৃটিশ রাজত্বকালে উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাম করা মিষ্টান্ন বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান আর্দশ মাতৃ ভাণ্ডারে গিয়ে কথা হয় ছানামুখীর তৈরির কারিগর দুলাল পালের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমে কাঁচা দুধ সংগ্রহ করার পর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ছেকে নেওয়া হয়। তারপর দুধ আগুনে ফুটিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ছানাপানি দিয়ে দুধ থেকে ছানা তৈরি করা হয়। তৈরিকৃত ছানার পানি শুকানোর জন্য পাতলা সুতি কাপড়ে বেঁধে তা ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর পানি ঝরে গেলে চার কোনা করে ছোট ছোট করে কাটা হয়। এরপর তাতে চিনি দিয়ে বানানোর রসের মিশ্রন দিয়ে শুকিয়ে নেওয়া হয়। ২ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি হয়ে যায় ছানামুখী।
তিনি আরো বলেন, আগে দেশী গাভীর দুধের কারণে ছানামুখীর মান উৎকৃষ্ট ছিলো। বর্তমানে শংকর জাতের গাভীর কারণে আগের মত ছানামুখীর স্বাদ পাওয়া যায় না।
একই কথা জানান মহাদেব পট্টির ভোলাগিরি মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী নান্টু মোদক। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিদিন ৭/৮ কেজি ছানামুখী তৈরী করি। প্রতি কেজি বিক্রি করতে হয় ৫৫০ টাকা কেজি। তাতে লাভ হয় ২০/২৫ টাকা। বিভিন্ন উৎসবে দুধের দাম বেড়ে গেলে আমাদের লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হয়। অন্যথায় ছানামুখী উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
এনটি