রাজধানী থেকে যেমন দেশের বিভিন্ন জেলায় গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে, তেমনি জেলা শহর থেকে রাজধানীতেও ঢুকছে যানবাহন। কোথাও কোনো বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন না গাড়ি চালকরা।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের অবরোধের বিষয়ে বাস মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তারা তো অবরোধের বিষয়ে আমাদের কিছু বলেনি। আমাদের সকল পরিবহন যথারীতি চলছে, চলবে।
গত ৬ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত সমাবেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন ঘোষণা দেন- শনিবার থেকে দেশের সব মহাসড়ক, নৌ পথ ও রেল পথে অবরোধ পালিত হবে।
এ ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য তিনি মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের প্রতি আহ্বান জানান।
এরআগে গত ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর থেকেই শাহবাগে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ রাস্তায় নেমে পড়ে।
প্রসঙ্গত সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি ৩০ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, পশ্চাৎপদ জেলাগুলোর জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৫ শতাংশ মিলিয়ে শতকরা ৫৬ ভাগ কোটা পদ্ধতি চালু ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ