ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পরিসর বাড়ছে চিত্রশালা এবং সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্রের

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৮
পরিসর বাড়ছে চিত্রশালা এবং সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্রের বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি

ঢাকা: শিল্পকলা একাডেমির দু’টি বিশেষায়িত ভবনের নানা সম্প্রসারণে বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এরইমধ্যে কাজ শুরুর প্রক্রিয়াতেও অগ্রগতি এসেছে। এ প্রকল্পের আওতায় একাধিক আধুনিক মিলনায়তন ও গ্যালারি নির্মাণ করা হবে, যা জাতীয় সংস্কৃতি ঐতিহ্যের সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধকরণ এবং প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

দেশীয় সংস্কৃতি তথা চারুকলা এবং সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তির বিকাশে সংস্কৃতিজনদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল জাতীয় চিত্রশালার সম্প্রসারণ ও অসমাপ্ত কাজ শেষ করা। একইসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্রের সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হয়েছে বার বার।

তারই ধারাবাহিকতায় ‘জাতীয় চিত্রশালা ও জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্রের সম্প্রসারণ ও অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ’ শীর্ষক  প্রকল্পটি ২০১৭ সালের নভেম্বরে অনুমোদন করা হয়। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদকাল শেষ হবে আগামী ২০২০ সালের জুন মাসে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসনে বাংলানিউজকে বলেন, একটি স্থায়ী গ্যালারির ব্যাপারে আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি। যেখানে সঠিক অবস্থায়, সঠিক তাপমাত্রায়, সঠিক আলোয় সংগৃহীত ছবিগুলো সব সময় থাকবে। কারণ সংগৃহীত ছবিগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষিত না হলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, আমার জানা মতে এখন পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমি থেকে দেশের বিভিন্ন প্রজন্মের শিল্পীদের প্রায় ৩ কোটি টাকার ছবি কেনা হয়েছে। একটি স্থায়ী গ্যালারি হলে এ ছবিগুলোর সঠিক সংরক্ষণ নিশ্চিত হবে।

জানা গেছে, প্রকল্প অনুযায়ী জাতীয় চিত্রশালা ভবনের সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে বর্তমান ভবনের ওপরে আরও তিনতলা নির্মাণ করা হবে। এতে আধুনিক বেশ কয়েকটি গ্যালারির পাশাপাশি একটি বড় মিলনায়তনও নতুন করে তৈরি করা হবে।

অন্যদিকে সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র ভবনে নির্মাণ করা হবে ৭৫০ আসনের নতুন অডিটোরিয়াম। এ ভবনের সামনে বর্তমানে যে খালি জায়গাটি রয়েছে, তাতে আরেকটি ভবন নির্মাণ করা হবে, যেটিকে সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র ভবনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।

প্রকল্প অনুমোদনকাল থেকে বর্তমান অগ্রগতির খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, কিছুদিনের মধ্যেই কাজ সম্পাদনের জন্য টেন্ডার ডাকা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় কাজ হবে দু’টি ভাগে। একটি জাতীয় চিত্রশালায়, অন্যটি জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্রে।

ইতোমধ্যে প্রকল্পের ডিপিপি কয়েকবার পুনর্গঠন করা হয়েছে। এতে বিশেষ কিছু সুপারিশ রয়েছে। এর মধ্যে প্রতিবন্ধীদের যাতায়াত সহজ করার জন্য ঢালু পথ/র‌্যাম্প তৈরিকরণ, ডে-কেয়ার সেন্টার ও মাদার্স কর্নার রাখার বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য।

প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, দেশের চারুকলার সংরক্ষণ এবং প্রদর্শনীর আরও বিস্তৃতকরণে জাতীয় চিত্রশালার সম্প্রসারণ জরুরি। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা প্রদর্শনীর আয়োজনে ভবনে আরও অবকাঠামো নির্মাণ ও অন্য সুবিধাদি বাড়ানোর তাগিদও রয়েছে।

তিনি বলেন, চারুকলার পাশাপাশি সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি শিল্পীদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর জন্যও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি ও বস্তুগত সুবিধাদি নিশ্চিতকরণে আমরা উদ্যোগী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
এইচএমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।