সোমবার (০৮ অক্টোবর) সকালে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত শিল্পী ফুলবাড়ীয়া এলাকার নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, ২০১১ সালে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করীমের ছেলে নজরুল ইসলামের সঙ্গে পাশের মাজিহাট এলাকার ইসমা খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। কিছুদিন পরে নজরুল ঢাকায় গিয়ে পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। বিয়ের কথা গোপন রেখে ২০১৫ সালে সহকর্মী শিল্পীকে প্রেম করে বিয়ে করেন তিনি। এর মধ্যে তাদের ঘরে জন্ম হয় মেয়ে আইরিনের। তারপর তারা গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। গ্রামের বাড়ি এসেই শিল্পী দেখেন তার স্বামীর আগের স্ত্রী রয়েছেন। এ নিয়ে তাদের পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। প্রায়ই তাকে মারধর করতেন নজরুল। চার/পাঁচদিন আগেও শিল্পীকে বেধড়ক মারপিট করেন তিনি।
নিহত শিল্পীর বাবা মন্টু মিয়া বলেন, আমরা জানতাম না যে জামাই আগে বিয়ে করেছে। আমার মেয়ে এ কথা জানার পর থেকে আমার জামাই এবং তার বাবা-মা আমার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছিলেন। রোববার দিনগত রাত ২টার দিকে ফোন করে পার্শ্ববর্তী একজন বলেন যে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়ে আমাকে বলতো, তাকে তার স্বামী-শ্বশুর মারধর করেন। আগের স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে চায়। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের শ্বশুর আব্দুল করীম বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে গলায় ফাঁস দিয়ে শিল্পী আত্মহত্যা করেছে। আমরা পরিবারের লোকজন কিছু জানি না। রাতে বাচ্চা কাঁদতে ছিল, গিয়ে দেখি তার মা মারা গেছে।
এ ব্যপারে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
এসআই