প্রজনন মৌসুমে বেশি ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যে নদীতে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। রোববার (৭ অক্টোবর) থেকে নদীতে নিষেধাজ্ঞা চলছে।
**ইলিশ ধরতে মানা, জেলেদের ‘ছুটি’
**নদীতে ইলিশ আহরণ নিষেধাজ্ঞা, ডাঙায় জেলেরা বুনছেন জাল
সোমবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে মেঘনা পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, জেলে ও নৌকাশূন্য নদী। যতদূর চোখ যায় কেবল পানি আর পানি। এসময় একটিও মাছ ধরার নৌকা দেখা যায়নি।
এদিকে, অভিযানের প্রথম দিন রামগতির মেঘনায় ইলিশ শিকারের সময় ১৪ জন জেলেকে আটক করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে, প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ মা ইলিশ রক্ষায় তৎপর। যে কারণে জেলেরা ভয় ও আতঙ্কে নদীতে মাছ শিকারে যাচ্ছেন না।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মহিব উল্লাহ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ কাজ করছে। জেলেদের সচেতন করতে হাটে-ঘাটে সচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে। মাইকিং, পোস্টার, লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। মা ইলিশ রক্ষায় গত কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় সফলতা এসেছে। জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। তারা এখন ডিমওয়ালা ইলিশ নিধন থেকে বিরত থাকছেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারে নদীতে যাচ্ছেন না। যে কারণে নির্বিঘ্নে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পারছে।
৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম। এ ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রজনন সময়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকায় মাছ ধরা যাবে না। এসময় মাছ শিকার, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ। এ আইন আমান্য করলে জেল অথবা জরিমানা এবং উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৮
এসআর/আরআর