বুধবার (১০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো)-এর সঙ্গে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই সবার লাভের বিষয়টা দেখবে, কিন্তু সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, বিনোদনের জন্য সবাই টিভি-রেডিও দেখে বা শুনে। এটাকে শিক্ষার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে, নিজের ও সমাজ উন্নয়নেও ব্যবহার করা যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশকে যেকোন অপশক্তির কবল থেকে দূরে রাখতে চাই। গণমাধ্যম বিশেষ করে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দেশের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ক্রীড়ার বিকাশে ভূমিকা রেখে কার্যকরী অবদান রাখতে পারে।
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা, অসাম্প্রদায়িকতা, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আলোকিত সমাজ বিনির্মাণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান প্রভৃতি ক্ষেত্রে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সমাজে যেন কোন অশুভ কাজ না হয়, সমাজটা যেন সুন্দরভাবে গড়ে উঠতে পারে, শিক্ষা-দীক্ষা যেন আরো বিকশিত হতে পারে, সংস্কৃতি ও সাহিত্য চর্চা, খেলাধুলা যেন আরো বিকশিত হয়, শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সাথে সাথে চরিত্র গঠনসহ সবদিক থেকে সহযোগিতা করবে সেই বিষয়গুলো টেলিভিশনে সম্প্রচার করুন।
সন্ত্রাস দমনে সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ বিশ্বব্যাপী একটা সমস্যা; যদিও আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত এই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ চরমপন্থাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। তবে এ বিষয়টি সারাক্ষণ আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।
বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে অ্যাটকো’র প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন পরিচালক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, নাজমুল হাসান পাপন প্রমুখ।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, তথ্যসচিব আব্দুল মালেক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন্নাহার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এমইউএম/এমজেএফ