কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় তিতলি: বাগেরহাটে প্রস্তুত ২৩৪ আশ্রয় কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন অংশের আকাশে মেঘের ঘূর্ণি দেখা যাচ্ছে। সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ডক্টর মো. শহিদুল ইসলাম বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১১ নম্বর বুলেটিন অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় তিতলি বুধবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা থেকে ৭৭৫ কিলেমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় তিতলি আরও শক্তি সঞ্চয় করে বুধবার মধ্যরাতের দিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষা ও অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়ের কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশের সুন্দরবন, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা এলাকায় পড়তে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এমজেএফ