দ্বীপজেলাসহ উপকূলীয় এলাকায় ৪ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবেলায় সতর্কতামূলক আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
বুধবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় কোস্টগার্ড, সিপিপি, রেডক্রিসেন্ট, এনজিও সংস্থার কর্মকর্তা, ত্রাণ অফিস, কৃষি, মৎস্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারদের প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, ভোলা সদরসহ জেলার সাতটি উপজেলায় আটটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুদ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলার প্রায় ৫০০টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এ সময় জেলা প্রশাসক সকলকে সর্তক হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
ভোলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় তিতলি মোকাবেলায় সিপিপির ৬৮০ জন টিম লিডারের নেতৃত্বে ১০ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবক কর্মী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। সতর্কতা সংকেতের পতাকা উত্তোলন এবং জনগণকে সর্তক থাকতে বলা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে পায়রা বন্দর থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এর গতিপথ উত্তর-উত্তর এবং পশ্চিমে এগুচ্ছে। তবে কখন এটি অতিক্রম করবে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
এদিকে, ঝড়ের প্রভাবে ভোলার নদ-নদীগুলো উত্তাল হয়ে পড়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এনটি