বুধবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার কদমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মহির আলী, তার ছোট ভাই কুদরত আলী, ওই এলাকার আশরাফুল আলম, কালাম মিয়া, মনছুর আলী, সুরুজ আলী, কাজিমুদ্দিন, সাজ্জাদ হোসেন, সোহেব আলী, সাদ উদ্দিন, তাসাবুল আলম, রতন মিয়া, আজিজুল ইসলাম, ফুয়াদ হোসেন ও সফিকুল ইসলামসহ উভয় পক্ষে অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের লতাবর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে ফারুক হোসেন গংদের সঙ্গে ২০১৩ সালের ২১ মে জমি ও রাস্তা নিয়ে সংঘর্ষ হয় ওই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর শফিকুল ইসলামের। ওই সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর শফিকুল মারা যান। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষীদের সাক্ষ্য না দিতে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ তুলেন নিহতের পরিবার।
অভিযোগটি জানতে পার্শ্ববর্তী হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মহির আলী কদমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গেলে পূর্বের হত্যা মামলার আসামি পক্ষরা চেয়ারম্যানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাকে রক্ষা করতে তার পরিচিতজনরা এগিয়ে এলে তারাও হামলার শিকার হন। এতে ওই চেয়ারম্যানসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২২ জন আহত হন।
স্থানীয়দের দেওয়া খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং আহতদের হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
জিপি