মসজিদ কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা হাজী আব্দুস সাত্তার ঢাকার উত্তরায় থাকেন। সপ্তাহে দুই-একদিন শ্রীপুরের ভাংনাহাটি এলাকায় তার বাড়িতে যান।
চার বিঘা জমি নিয়ে ৮০ কোটি টাকা ব্যয় করে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত মসজিদটি দেখতে ও নামাজ পড়তে প্রতিদিন গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত মানুষ আসেন। তবে শুক্রবার জুমআ নামাজ পড়তে এ মসজিদে বিভিন্ন অঞ্চলের মুসল্লিরা ভিড় জমান। মসজিদ ও পাশেই একটি মাদ্রাসা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও দেখাশুনার জন্য ৩৩ জন লোক রয়েছে। দুই তলাবিশিষ্ট এই মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ করতে পুরো ৬ বছর সময় লাগে। সব সময় বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা চালু রাখতে রয়েছে নিজস্ব জেনারেটর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এ মসজিদে বিশাল উঁচু দুইটি মিনার ও চারটি গম্বুজ রয়েছে। সামনে রয়েছে দু’টি দৃষ্টিনন্দন বিশাল মিনার। পুরো মসজিদটি মার্বেল পাথরের তৈরি। মসজিদটির সামনে বিশাল একটি গেট। গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেই বড় একটি দরজা। এর ডান ও বাম পাশে রয়েছে আরও দু’টি ছোট দরজা। ভেতরে অসংখ্য বৈদ্যুতিক পাখা। মসজিদের ভেতরে মার্বেল পাথরে খচিত সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত লেখা রয়েছে।
মসজিদের দুই পাশে সবুজ ঘাসের মাঠ এবং নারিকেল, আম ও লিচু বাগান। সামনের অংশের ডান পাশে রয়েছে বিশাল অজুখানা।
নিরাপত্তার স্বার্থে পুরো মসজিদে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। রয়েছে বিশাল সীমানা প্রাচীর।
ওই এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর লোকজন আসে কেউ নামাজ পড়তে কেউ মসজিদটি দেখতে। শুনেছি মসজিদটি নির্মাণ করতে প্রচুর টাকা ব্যয় হয়েছে।
মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা রহমত উল্লাহ জানান, প্রথমে ভারত থেকে প্রকৌশলী এনে মসজিদের নকশা করানো হয়। পরে বাংলাদেশের প্রকৌশলী এর কাজ করেন। প্রতিদিন এ মসজিদের নামাজ পড়তে পাশের মাদ্রাসা ও আশপাশের লোকজন আসে। এছাড়া প্রত্যেক শুক্রবার নামাজ পড়তে গাজীপুর ছাড়া বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আসে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
আরএস/আরআর