ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রত্যাশা

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রত্যাশা বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা সভা

ঢাকা: বাংলাদেশ  ও তুরস্কের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান, বিশেষত শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের সম্পর্ককে আরো দৃঢ় ও সম্প্রসারিত করতে হবে বলে  মত প্রকাশ করেছেন ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।

ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে উস্কুদার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ঐতিহাসিক অংশীদারিত্ব’- শীর্ষক এক  আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। বুধবার (১২ ডিসেম্বর) এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. দেনিজ উলকে আরিবোয়ান, বিশিষ্ট সাংবাদিক আহমেদ চোস্কুনায়দিন, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব আরজু চিফতসুরেন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জেলাল তোপ্রাক এবং উস্কুদার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. নেভজাত তারহান।  

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইস্তাম্বুলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং মিডিয়া প্রতিনিধি।  

কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যেকার ঐতিহাসিক যোগসূত্র রয়েছে।  এটাই দু’দেশের সম্পর্ককে ভাতৃপ্রতীম সম্পর্কে রূপদানে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করেন। দু’দেশের মধ্যকার এ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে তাদের জনগণের মধ্যকার আদান-প্রদান, বিশেষ করে শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের সম্পর্ককে আরো দৃঢ় ও সম্প্রসারিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিক আহমেদ চোস্কুনায়দিন ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জেলাল তোপ্রাক সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ সফরের ওপর তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভুতপূর্ব সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।  

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আরজু চিফতসুরেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কামাল পাশা’ কবিতা আবৃত্তি করেন এবং দু’দেশের মধ্যেকার বিরাজমান সংস্কৃতির সেতুবন্ধনের ওপর আলোকপাত করেন।

রেক্টর অধ্যাপক ড. নেভজাত তারহান সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ-তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো অর্থবহ ও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে শিক্ষক, গবেষক ও ছাত্র সমাজের ভূমিকা ও অবদানের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে বাংলাদেশ-তুরস্কের ইতিহাসের ওপর গবেষণার জন্য একটি সেন্টার স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।