ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নীলফামারীতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ে ১৩ ডিসেম্বর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
নীলফামারীতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ে ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক

নীলফামারী: ১৯৭১ সালের এই দিনে নীলফামারীকে হানাদারমুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা। ১৩ ডিসেম্বর ভোরে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। এসময় বীর যোদ্ধাদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে রাস্তায় নেমে আসেন মুক্তিকামী সব শ্রেণীপেশার মানুষ। বিজয়ের উল্লাস আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সে সময়ের মহকুমা শহর। 

১২ ডিসেম্বর রাতে শহরের চারদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল আক্রমণে হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়ে নীলফামারী শহর ছেড়ে আশ্রয় নেয় সৈয়দপুর সেনানিবাসে।

দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

 

এর মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টার দিকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হবে। শেষে সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এসব কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, জেলা প্রশাসনসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাধারণ মানুষসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ফজলুল হক জানান, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে ছাত্র-জনতা ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তির সংগ্রামে। শুরুতে মিটিং-মিছিল আর সভা সমাবেশের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে দেশ মাতৃকা রক্ষার আন্দোলন। নীলফামারী মহকুমা শহরের অস্ত্রাগারে রক্ষিত অস্ত্র ছিনিয়ে এনে নীলফামারী বড়মাঠে শুরু হয় অস্ত্র হাতে নেয়ার প্রশিক্ষণ। এরপর ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছয় নম্বর সেক্টরের অধীনে অস্ত্র হাতে যোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েন হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। নয় মাসের গেরিলা আক্রমণ আর সম্মুখ যুদ্ধে জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ উপজেলা মুক্ত করে তারা এগিয়ে আসেন নীরফামারী শহরের দিকে। ১৩ ডিসেম্বর ভোরে হানাদারমুক্ত হয় নীলফামারী।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।