ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে ভোট দেয়ার আহ্বান’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
‘তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে ভোট দেয়ার আহ্বান’ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাষ্ট্র পরিচালনায় ‘তরুণ সমাজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

তারা জানায়, দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়ে বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন করতে দেশের যুব সমাজ বড় শক্তি। কারণ বর্তমানে দেশে ১০কোটি ৪১ লাখ ভোটার।

এর মধ্যে আড়াই কোটি তরুণ ও এক কোটি ৪৭ লাখ নতুন ভোটার। তাই তাদের হাতেই দেশের ভবিষ্যত। আসন্ন একাশদ জাতীয় নির্বাচনে তারা নির্ধারণ করবে দেশ পরিচালনায় কোনো শক্তি ক্ষমতায় আসবে স্বাধীনতার পক্ষের না বিপক্ষের।

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধাস আলোচক ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।

সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলামিস্ট ড. মিল্টন বিশ্বাস।

বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মুল চেতনা হচ্ছে বাঙালীত্ববোধ। যারা এই বোধের বিরোধিতা করে তাদের এই দেশে কোনো স্থান নেই। তারা ১৯৪৭ সাল থেকে ষড়যন্ত্র করে আসছে এদেশকে পূর্ব পাকিস্তানে পরিণত করতে। এই মনোভাব থেকে তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাঙালীত্ববোধকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলো। কিন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কাছে তারা বারবার পরাজিত হয়েছে। এজন্য তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে থাকতে ইতিহাসের সঙ্গে সাক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা নিজেদের জন্য একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র কাঠামো পেয়েছি। যেরাষ্ট্রের ভিত্তি গণতন্ত্র, সামাজিক সাম্য এবং মৌলিক অধিকার চর্চা। আজ আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে উচ্চ মর্যাদায় অভিষিক্ত। যে রাজনৈতিক সংগ্রামের ত্যাগের মধ্য দিয়ে এ রাষ্ট্রের জন্ম সেই ইতিহাসকে যথাযথ উপলব্দি করাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এই চেতনা মধ্যে গণতান্ত্রিক দাবি আদায়ের আদর্শ রয়েছে, মুক্তির স্বপ্ন আছে আর আছে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ না করার মূল্যবোধ। অন্যদিকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, আসাম্প্রদায়িকতা, সাম্য ও মানবাধিকার আমাদের বর্তমান বাংলাদেশের অগ্রগতির অন্যতম অনুপ্রেরণা যা আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্যতম অনুষঙ্গ।

মূলপ্রবন্ধে মিল্টন বিশ্বাস বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। কিন্তু সেই চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য কেবল রাষ্ট্রীয় নিয়মনীতি, আইন-কানুন প্রণয়ন ও প্রয়োগই যথেষ্ট নয়। তার জন্য সামগ্রিক এবং নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ প্রয়োজন। দুর্নীতিকে কেবল আইনি ব্যবস্থায় মাধ্যমে দমন করা সম্ভব নয়, তার জন্য প্রয়োজন সামগ্রিকভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। এজন্য সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজ ও নাগরিকগোষ্ঠীর সম্মিলিত প্রয়াস দরকার। আর এই দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়তে বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন করতে দেশের যুব সমাজই সবচেয়ে বড় শক্তি বলেও মনে করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, আজ আমারা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে যাচ্ছি। স্বাধীন জাতি হিসেবে উচ্চ মর্যাদায় অভিষিক্ত। অথচ একটি অপশক্তি এটা মেনে নিতে পারছে না। তারা ১৯৪৭ এরপর থেকেই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এজন্য তরুণ সমাজকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে যথাযথ উপলব্দি করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।