ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আশরাফের জন্য অঝোরে কাঁদলেন কাদের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৯
আশরাফের জন্য অঝোরে কাঁদলেন কাদের

ঢাকা: রাজনীতিতে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন তার অগ্রজ অভিভাবক, দীর্ঘদিনের সহকর্মী। সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় প্রধান বা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আশরাফ যে দায়িত্ব সামলাতেন, সে দায়িত্বই এখন তার কাঁধে। মুক্তিযুদ্ধকালীন রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে আশরাফের সঙ্গে যে স্মৃতি জমেছিল, সেই স্মৃতি হৃদয়পটে ভেসে উঠতেই কেঁদে ফেললেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কাদেরের পাশাপাশি আশরাফের স্বজনদের কান্নায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীরাও।

শনিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট ‘মেঘদূত’যোগে ব্যাংকক থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ। তার মরদেহ নিতে মরহুমের স্বজন এবং মন্ত্রী-নেতাদের সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন কাদের।

 

মেঘদূত রানওয়েতে অবতরণ করার আগেই দলীয় নেতাকর্মী ও সৈয়দ আশরাফের স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে রানওয়ের পাশে এসে দাঁড়ান ওবায়দুল কাদের। বিমানের কার্গো ভোল্ট থেকে মরদেহ নামানোর পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্য সদস্য ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সৈয়দ আশরাফের কফিন জাতীয় পতাকা মুড়ে দেন ওবায়দুল কাদের। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এক পর্যায়ে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেননি। কেঁদে ফেলেন অঝোরে। পাশে থাকা দলীয় নেতাকর্মীদের সান্ত্বনাও থামাতে পারছিল না দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিভাবক হারানোর এই বেদনা।  

বিমানবন্দরে সৈয়দ আশরাফের মরদেহবাহী প্লেন নামার পর স্বজন-শুভানুধ্যায়ীদের কান্না।  ছবি: জিএম মুজিবুরবিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে আসার পর সৈয়দ আশরাফ সম্পর্কে সাংবাদিকেরা মন্তব্য জানতে চাইলে প্রথমদিকে তাও বলেননি ওবায়দুল কাদের। বিষয়টিকে এড়িয়ে প্রতিবারই তিনি বলেছেন, এই কয়েকদিনে অনেকবার এই বিষয়ে কথা বলেছি। তার বিষয়ে কথা উঠলেই খারাপ লাগে। তাই আজ আর কিছু বলতে চাই না।  

দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে গত ৩ জানুয়ারি ব্যাংককের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৈয়দ আশরাফ। সেখান থেকে তার মরদেহ মেঘদূতযোগে ঢাকায় আনা হয়। বিমানবন্দর থেকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার বেইলি রোডের বাসায়। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাইতেই কেঁদে ফেলেন ওবায়দুল কাদের।  ছবি: জিএম মুজিবুরবেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে নিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমাগারে রাখা হবে আশরাফের মরদেহ। রোববার (৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হবে। এরপর হেলিকপ্টারে করে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার জেলা কিশোরগঞ্জে। দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে সৈয়দ আশরাফের দ্বিতীয় জানাজা হবে।

এরপর তৃতীয় নামাজে জানাজা দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাঁ মাঠে সম্পন্ন হবে। সেখান থেকে মরদেহ ঢাকায় নিয়ে এসে বাদ আসর বনানী কবরস্থানে দাফন হবে সৈয়দ আশরাফকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৯
এসএইচএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।