ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মেঘনায় ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ২০ জনের মধ্যে ১৮ জনই পাবনার

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
মেঘনায় ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ২০ জনের মধ্যে ১৮ জনই পাবনার

ঈশ্বরদী: মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চাঁদপুরের মতলব ও গজারিয়ার সীমান্তবর্তী কালিয়াপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে মাটি বোঝায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ২০ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। 

নিখোঁজ ২০ জনের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় জানা গেছে। এরমধ্যে ১৭ জনের বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় এবং একজনের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।

অপর দুইজনের পরিচয় জানা যায়নি।

>>>আরো পড়ুন...মেঘনায় ট্রলারডুবি: নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ চলছে

এরআগে, মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) ভোর ৪টায় চাঁদপুরের মতলব মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

নিখোঁজ ১৮ জন হলেন- পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মুন্ডুমালা গ্রামের গোলাই প্রামানিকের ছেলে ছোলেমান হোসেন, জব্বার ফকিরের ছেলে আলিফ ফকির ও মোস্তফা ফকির, গোলবার হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন, আব্দুল মজিদের ছেলে জাহিদ হোসেন, নুর ইসলামের ছেলে মানিক হোসেন, ছায়দার হোসেনের ছেলে তুহিন হোসেন, আলতাব হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন, আব্দুল মজিদের ছেলে জাহিদ হোসেন, লয়ান ফকিরের ছেলে রফিকুল ইসলাম, দাসমরিচ গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে ওমর আলী ও মান্নাফ আলী, তোজিম মোল্লার ছেলে মোশারফ হোসেন, আয়ান প্রাংয়ের ছেলে ইসমাঈল হোসেন, সমাজ আলীর ছেলে রুহুল আমিন, মাদারবাড়িয়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আজাদ হোসেন, চন্দিপুর গ্রামের আমির খাঁন, আব্দুল লতিফের ছেলে হাচেন আলী, উল্লাপাড়া উপজেলার গজাইল গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে রহমত আলী।  

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঢাকা থেকে ঘটনাস্থলেই ছুটে গেছেন, এলজিইডি’র প্রকল্প পরিচালক মমিন মজিবুল হক টুটুল সমাজী।

বেঁচে যাওয়া শ্রমিকদের বরাত দিয়ে টুটুল সমাজী বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার ভোরে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ট্রলারে মাটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বক্তাবলী এলাকায় যাচ্ছিলেন শ্রমিকেরা। ভোরে ট্রলারটি কালিয়াপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতদিক থেকে আসা একটি মালবাহী জাহাজের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে ৩৪ জন শ্রমিকদের মধ্যে ১৪ জন সাঁতরে প্রাণ বাঁচালেও নিখোঁজ হয় আরো ২০ জন।

বেঁচে যাওয়া শ্রমিকদের মধ্যে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে মামুন প্রামাণিক ও পাইকপাড়া গ্রামের আশরাফ মোল্লার ছেলে শাহ আলম বাংলানিউজকে জানান, ট্রলারের সামনের দিকে ছিলেন মামুন আর পেছনের দিকে ছিলেন শাহ আলমসহ অন্যরা। ট্রলার ডুবে যাওয়ার মুহুর্তে ১৪ জন সাঁতরে উঠে আসতে পারলেও অন্যরা পারেনি। তারা আরো জানান, ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় তারা পানিতে ভেসে ছিলেন। তারপর অন্য একটি ট্রলার গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

পাবনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সকাল থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার কাজ চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।