রিক্তার পরিবারের অভিযোগ যৌতুকলোভী স্বামীর নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের দুবলাচারা গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রিক্তা পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের মেয়ে।
রিক্তার বাবা মিনহাজ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, তিন বছর আগে আবুলের সঙ্গে রিক্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আবুল যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। সম্প্রতি ব্যবসা করার কথা বলে বাবার বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য রিক্তাকে চাপ দেন আবুল। রিক্তা এতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হতো।
তিনি জানান, জামাই আবুল বৃহস্পতিবার রাতে ফোন দিয়ে বলেন আপনার মেয়ে অসুস্থ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। আধা ঘণ্টা পর আবার ফোন দিয়ে বলেন হাসপাতালে নেওয়ার দরকার হবে না অসুস্থ বেশি দেখতে আসেন। তখন ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন তার মেয়ে মারা গেছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বাংলানিউজকে জানান, শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগও দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
আরএ