রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের হোটেল লং বিচে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) বাংলাদেশের উদ্যোগে ও ঢাকাস্থ সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘রিইন্টিগ্রেশন অব রিটার্ন মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স: স্টোকিং অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, এ সেক্টরের উন্নতি সাধন করতে হলে প্রত্যাবর্তিত শ্রমিকদের জন্য কল্যাণকর ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি বলেন, সপ্তম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনায় বিষয়টি আলোচনায় নিয়ে আসতে হবে। প্রবাসীদের কল্যাণে একটি বিশেষায়িত ব্যাংকও রয়েছে। আগের চেয়ে এ খাতে অনেক পরিবর্তন এসেছে।
‘শ্রমিকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে হবে। শ্রমিকদের আপগ্রেডেশন করার বিকল্প নেই। প্রত্যাবর্তিত শ্রমিকদের কাউন্সিলিং করতে হবে। এছাড়াও ইন্সুরেন্স নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের দরজা সবসময় খোলা আছে। ’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেলে হোলেনস্টেইন বলেন, বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের কল্যাণে পলিসি, রুলস আর পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ সেক্টরের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারকে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসহ সামাজিক সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। অভিবাসী শ্রমিকরাই এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাই এ খাতে সরকারের বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত।
স্বাগত বক্তব্যে আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পটিআইনেন বলেন, কেবল অভিবাসীদের কল্যাণে পলিসি গ্রহণ নয় বরং বাস্তবে পরিণত করাটাই মূল বিষয়। শ্রমিকদের মধ্যে দুর্বল দিকও রয়েছে। তা আমাদেরকে অতিক্রম করতে হবে। শ্রমিকদের দুর্বলতা, নানাবিধ রোগ ও হতাশা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা শ্রমিকদের কল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। শ্রমিকরা অস্তিত্বের লড়াই করে দেশ ও জাতির উন্নতি সাধন করে। সুতরাং অভিবাসী শ্রমিকের সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে।
এছাড়াও কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ডব্লিউইডব্লিউবির ডিজি গাজী মোহাম্মদ জুলহাস।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
টিএম/এইচএডি