রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন কোম্পানিটিতে কর্মরতরা।
মানববন্ধনে কর্মরতরা বলেন, কোম্পানির প্রায় এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর দেওয়া ক্ষতিপূরণ ফাইল নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা না করে কোম্পানির প্রাপ্য অর্থ (প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রেচ্যুইটি) অন্য কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া ও ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তারা বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি হলেও কোম্পানির পক্ষে বড় কর্মকর্তারা আমাদের হুমকি, ভয়-ভীতি দিতে থাকে। তবুও আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি।
সানোফি বাংলাদেশ কর্মকর্তা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, দাবি আদায়ে আমরা কোম্পানিকে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের দাবি মেনে নেয়নি কোম্পনির কান্ট্রি চেয়ার বা ব্যবস্থাপনা সম্পাদক (এমডি)। এসময়ের মধ্যে কোনো আলোচনা না হওয়ায় বা যৌক্তিক কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় প্রাথমিকভাবে আমরা শুধু ঢাকায় কর্মরত সাড়ে ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেছি। দাবি আদায় না হলে আরও কঠার আন্দোলনে যাবো।
‘বাংলাদেশ থেকে বহুজাতিক কোম্পানি শেয়ার হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণের রেওয়াজ চলে আসছে। যা গত বছর গ্ল্যাক্সো কোম্পানি সঠিকভাবে পালন করেছে। এ বিষয়ে আমাদের দাবি আদায়ে আমরা বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ফরাসি রাষ্ট্রদূত, বিদেশি বিনিয়োগকারী শিল্প বণিক সমিতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করি। ’
সানোফি বাংলাদেশের ৪৫ শতাংশ শেয়ার সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি)। সানোফি বাংলাদেশে কর্মরত প্রায় সাড়ে ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
ইএআর/এইচএডি